সামাজিকভাবে


যখন একটি ছেলে বা মেয়ে 10 থেকে 12 বছরে পৌঁছায় তখন, তাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন হয়। এই সময়ে মেয়েদের মাসিক শুরু। হয় ছেলেদের দাড়ি-গোঁফ,  গজায় এরকম আরো অনেক নতুন নতুন বিষয়ের সাথে তারা পরিচিত হয়।🤔

তাছাড়া এ সময় মনের পরিবর্তন হয় এবং ছেলে মেয়েরা নিজেদের ইচ্ছেমতো চলতে চায়।
ছেলেমেয়েরা যেন ভুল না করে, সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে পারে, সেজন্য বাবা-মা বিভিন্ন উপদেশ দেন এবং শাসন করেন। এ সময় সব ব্যাপারে যদি বাবা মার সাথে আলাপ করা যায় । তবে সমস্যা সহজেই সমাধান হয়ে যায়।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলে এবং মেয়েদের সমান চোখে দেখা হয়না। এবং তাদের সাথে একই রকম ব্যবহার করা হয় না। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে তারা বৈষম্যের শিকার হয়।

বয়সন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের সাথে বাবা-মা ও পরিবারের এ ধরনের তারতম্য আরো বেশি করে নজরে আসে।৷ অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েটির অবস্থা ছেলেটির নিচে। যথাযথ সুযোগ পেলে ছেলে-মেয়ের সমানভাবে যে কোন কাজ করতে পারে।

সময় নিরাপত্তা ও সম্মানের কারণে বাবা-মা মেয়েদের ব্যাপারে আরও বেশি চিন্তিত থাকেন স্বাধীনভাবে চলাফেরা বন্ধু-বান্ধবী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের উপর বেশি নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন। এ সময় মেয়েরা যাতে কোনো রকম যৌন নিপীড়নের শিকার না হয় সে ব্যাপারে বাবা-মা বিশেষভাবে সতর্ক থাকেন।

কিশোর কিশোরীরা সকল ব্যাপারে বাবা-মা-ভাই-বোন অথবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করা উচিত। যে কোন বিশেষ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সাথে একমত না হলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব এতে সমস্যা দূর হবে এবং বাবা মায়ের সাথেও সম্পর্ক বজায় থাকবে।

Post a Comment

0 Comments